শস্য ভান্ডার জেলা হিসেবে পরিচিত গাইবান্ধা জেলা। এ জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষি ফসলের ওপর নির্ভশীল। কৃষকদের ঐকান্তিক পরিশ্রমে বেড়েছে চাল ও আলুর উৎপাদন। জাতীয় পর্যায়ের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ জেলার উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষে গাইবান্ধায় আলোচনা সভার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, চাল উৎপাদনে গত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ছিল ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮৬ মেট্রিক টন। সেটি ২০২০-২১ অর্থ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭১৭ মেট্রিক টনে। এছাড়া গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে আলু উৎপাদন ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ১২৫ মেট্রিক টন। তা ২০২০-২১ অর্থ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৯০ মেট্রিক টনে।
গাইবান্ধা জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাদেকুর রহমান।
সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পরিসংখ্যান বিভাগের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরেন গাইবান্ধা জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. এনামুল হক।
সভায় বক্তব্য রাখেন, সহকারী পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেন, গাইবান্ধা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. শহীদ আহম্মেদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফয়সাল আজম, গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কেএম রেজাউল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চন্দ্র মোদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
পরিসংখ্যান বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি জাতীয় পরিসংখ্যান প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বিবিএসের নিজস্ব অফিস ভবন ও ডাটা প্রসেসিং সেন্টার স্থাপন এবং জনবল কাঠামো পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে ইউনিয়ন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ে একজন করে তথ্য সংগ্রহকারী নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলা হয় আলোচনা সভায়।
সভার প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, গাইবান্ধা জেলায় ২০০১ সালে শিক্ষার হার ছিল ৩৫.৭ শতাংশ। ২০২০ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৭০ শতাংশে। এতে করে বোঝা যাচ্ছে, প্রতি বছর শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক বছরের নিচে শিশু মৃত্যু হার (প্রতি হাজার জীবিত জন্ম) অনেক কমে গেছে। যা ২০১৪ সালে ছিল ৬৬ জন ও ২০২০ সালে ১৯ জন। সেই সাথে পাঁচ বছরের নিচে শিশু মৃত্যু হার (প্রতি হাজার জীবিত জন্ম) ২০১৪ সালে ছিল ৮৭ জন ও ২০২০ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৩৬ জনে। প্রতিবন্ধিতার শতকরা হার ২০১৪ সালে যেখানে ছিল ১৩.৪ শতাংশ। ২০২০ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৯.৭ শতাংশে। ২০১৪ সালে পুরুষের বিয়ের গড় বয়স ছিল ২৪ বছর ও নারীর ১৬.৮ বছর। ২০২০ সালে পুরুষের বিয়ের গড় বয়স ছিল ২২.৮ বছর ও নারীর ১৭.৬ বছর।

করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট, গাইবান্ধা 
























