সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বিশ্বমানের শিক্ষাকেন্দ্র

তোফায়েল হোসেন জাকির: গাইবান্ধায় ‌‌‍গণ উন্নয়ন কেন্দ্র নামের একটি এনজিও’র প্রতিষ্ঠিত- জিইউকে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ আগামীকাল শনিবার উদ্ধোধন হতে যাচ্ছে। নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত বিশ্বমানের এই শিক্ষাকেন্দ্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর লক্ষে ইতোমধ্যে সবধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জিইউকে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম আব্দুস সালাম।

তিনি বলেন, আগামীকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও পাওয়ার অ্যান্ড পাটিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ, পুলিশ সপার মোশাররফ হোসেনসহ আরও অনেকে।

খোঁজ নিয়ে জানা জানা যায়, গাইবান্ধা জেলা শহর সংলগ্ন গাইবান্ধা-সাঘাটা রোডে নশরৎপুর গ্রামস্থ আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর দৃষ্টিনন্দন জিইউকে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজটি স্থাপতি করা হয়েছে। এখানে নানা জাতের ফুল ও ফলদ গাছপালায় সবুজায়নে সজ্জিত করা হচ্ছে ভবনটি। শিশু থেকে যেকোন বয়সী মানুষ এই ক্যাম্পাসে আসলেই মন প্রস্ফুটিত হয়ে উঠবে। পুরোপুরিভাবে কোলাহলমুক্ত ও মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে সুবিশাল শিশু ও কিশোরদের জন্য দুটি পৃথক খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে নিরাপদ ও মানসম্মত আবাসন ব্যবস্থা। অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ অডিটোরিয়াম ও পৃথক সাংস্কৃতিক চর্চা কক্ষ। ভবনের নীচ তলায় থাকছে সুবিশাল কাফেটেরিয়া। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্যই এটি তৈরি করা হয়েছে।

এছাড়াও রয়েছে অত্যাধুনিক জিম ও সুইমিংপুল। স্কুল ভবনের সাথেই দূরের দর্শনার্থী অভিভাবকদের জন্য নির্মিত হয়েছে আবাসিক সুবিধা। অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে বেশ কয়েকটি পরিবহণ সুবিধা। পাঠদানের পাশাপাশি কালচারাল ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব, ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, বিজ্ঞান, লোগো ও রোবোটিকস ক্লাবের মাধ্যমে সহপাঠক্রমিক কার্যক্রম যুক্ত করা হয়েছে।

এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম বৈশিষ্ট্যের মধ্যে প্লে থেকে কেজি পর্যন্ত কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল কারিকুলামে পাঠদান করা হবে। শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে তিনটি ভাষায় দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। তবে, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কারিকুলামে পাঠদান করা হবে।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ জহুরুল কাইয়ুম জানান, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্লে থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। পড়ালেখার পাশাপাশি আমরা শিক্ষার্থীদের ভালো নাগরিক হিসেবে তৈরি করতে চাই। এজন্য শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মনো পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছি। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং বা প্রাইভেট পড়তে হবে না। শিক্ষার্থীরা যাতে সাবলীলভাবে বাংলা ও ইংরেজিতে কথা বলতে ও লিখতে পারে এজন্য বিশেষ পদক্ষেপ থাকবে। শ্রেণিকক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে নিবিড়ভাবে পাঠদান দেওয়া হবে।

জিইউকে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রধান এম আবদুস সালাম বলেন, যুগোপযোগী ও বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা প্রসারে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে যাচ্ছে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি। গণ উন্নয়ন কেন্দ্র তিন যুগের বেশি সময় ধরে উপানুষ্ঠানিক, প্রাক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কারিগরি শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা থেকে একটি বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়েছে।

 

জনপ্রিয়

গাইবান্ধায় উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বিশ্বমানের শিক্ষাকেন্দ্র

প্রকাশের সময়: ০৫:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

তোফায়েল হোসেন জাকির: গাইবান্ধায় ‌‌‍গণ উন্নয়ন কেন্দ্র নামের একটি এনজিও’র প্রতিষ্ঠিত- জিইউকে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ আগামীকাল শনিবার উদ্ধোধন হতে যাচ্ছে। নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত বিশ্বমানের এই শিক্ষাকেন্দ্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর লক্ষে ইতোমধ্যে সবধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জিইউকে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম আব্দুস সালাম।

তিনি বলেন, আগামীকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও পাওয়ার অ্যান্ড পাটিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ, পুলিশ সপার মোশাররফ হোসেনসহ আরও অনেকে।

খোঁজ নিয়ে জানা জানা যায়, গাইবান্ধা জেলা শহর সংলগ্ন গাইবান্ধা-সাঘাটা রোডে নশরৎপুর গ্রামস্থ আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর দৃষ্টিনন্দন জিইউকে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজটি স্থাপতি করা হয়েছে। এখানে নানা জাতের ফুল ও ফলদ গাছপালায় সবুজায়নে সজ্জিত করা হচ্ছে ভবনটি। শিশু থেকে যেকোন বয়সী মানুষ এই ক্যাম্পাসে আসলেই মন প্রস্ফুটিত হয়ে উঠবে। পুরোপুরিভাবে কোলাহলমুক্ত ও মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে সুবিশাল শিশু ও কিশোরদের জন্য দুটি পৃথক খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে নিরাপদ ও মানসম্মত আবাসন ব্যবস্থা। অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ অডিটোরিয়াম ও পৃথক সাংস্কৃতিক চর্চা কক্ষ। ভবনের নীচ তলায় থাকছে সুবিশাল কাফেটেরিয়া। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্যই এটি তৈরি করা হয়েছে।

এছাড়াও রয়েছে অত্যাধুনিক জিম ও সুইমিংপুল। স্কুল ভবনের সাথেই দূরের দর্শনার্থী অভিভাবকদের জন্য নির্মিত হয়েছে আবাসিক সুবিধা। অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে বেশ কয়েকটি পরিবহণ সুবিধা। পাঠদানের পাশাপাশি কালচারাল ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব, ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, বিজ্ঞান, লোগো ও রোবোটিকস ক্লাবের মাধ্যমে সহপাঠক্রমিক কার্যক্রম যুক্ত করা হয়েছে।

এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম বৈশিষ্ট্যের মধ্যে প্লে থেকে কেজি পর্যন্ত কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল কারিকুলামে পাঠদান করা হবে। শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে তিনটি ভাষায় দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। তবে, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কারিকুলামে পাঠদান করা হবে।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ জহুরুল কাইয়ুম জানান, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্লে থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। পড়ালেখার পাশাপাশি আমরা শিক্ষার্থীদের ভালো নাগরিক হিসেবে তৈরি করতে চাই। এজন্য শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মনো পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছি। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং বা প্রাইভেট পড়তে হবে না। শিক্ষার্থীরা যাতে সাবলীলভাবে বাংলা ও ইংরেজিতে কথা বলতে ও লিখতে পারে এজন্য বিশেষ পদক্ষেপ থাকবে। শ্রেণিকক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে নিবিড়ভাবে পাঠদান দেওয়া হবে।

জিইউকে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রধান এম আবদুস সালাম বলেন, যুগোপযোগী ও বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা প্রসারে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে যাচ্ছে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি। গণ উন্নয়ন কেন্দ্র তিন যুগের বেশি সময় ধরে উপানুষ্ঠানিক, প্রাক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কারিগরি শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা থেকে একটি বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়েছে।